Skip to main content

২০১৪ সালের জুন মাসে কি আশাই যেন অনেক ভালোলাগার শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে গতানুগতিক ধারার সরকারী চাকুরিতে যোগদান করলাম। নাই ঘরের সন্তানের প্রতি যেমন অতিরঞ্জিত প্রশ্রয় মাখানো ভালোবাসা থাকে আমারও অনুরূপ সম্ভ্রম আর শ্রদ্ধার সাথে চাকরি জীবন যাপন। মজার ব্যাপার হলো, গত পাঁচ বছরে ভুলেই গিয়েছি যে, আমারও কোন সমস্যা থাকতে পারে।  ব্যক্তিগত জীবনকে ছাপিয়ে গিয়েছে চাকুরি। প্রতিবার যখন বাড়ি যেতাম, বাড়িকে মতো হতো স্বল্প সময়ের ট্রানজিট স্টেশন। পৌঁছার পরপরই ফিরে আসার তাড়া আমার সমস্ত চিন্তাকে ঘিরে ধরত। অবশেষে, মুক্তি এলো চারদিনের জন্য।

সাহস করেই তিন দিনের ছুটি চেয়ে ফেললাম, অনুমোদনও পেলাম। তিনদিনের অবসরে অফিসকে একটু পাস কাটিয়ে, নিজেকে নিয়ে ভাবার যেন একটু অবসর এলো। গ্রামের বাড়ি ফিরলাম। বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম, যে মুক্ত বাতাসে আমি নিশ্বাস নিচ্ছি তার প্রতি কণা যেন আমার ফুসফুস অনুভব করছে। সত্যই তো এ বাতাস , প্রসারিত আকাশ, মেঘ, অবারিত মাঠকে আমি প্রায় ভুলতেই বসেছি। আমার লেখালেখির প্রয়াস, আত্মীয়তায় অকারণ সুখ খোজা, সকলকে নিয়ে ভালো থাকার প্রচেষ্টা জলাঞ্জলি দিয়ে চাকুরি নামক আধুনিক দাসত্বে নিজেকে সম্পূর্ণ সপে দিয়েছে। এ প্রথম মনে হলো, মুক্তি দরকার। মুক্তি মানে অর্পিত দায়িত্বে অবহেলা নয়, নিজকে আর অপিসকে সমান্তরালে রেখে চলা।

 

(প্রথম প্রকাশ shisirmehdi.home.blog এ ২৫ নভেম্বর ২০১৯)

 

shisir mehdi

মো: মেহেদী হাসান। জন্ম করতোয়া ‍পাড়ের পুন্ড্রবর্ধনের স্মৃতিমাখা বগুড়ায়। সরকারী আজিজুল হক কলেজ হতে রসায়নে স্নাতকোত্তর। খন্ডকালীন এমফিল করছেন রুয়েটে। বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরির মাধ্যমে কর্ম জীবনের শুরু। বর্তমানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে কর্মরত। শিশির মেহ্দী ছদ্মনামে লেখালেখির শুরু করেছিলেন। প্রকাশিত বই চক্র ( ছোট গল্প) এবং নির্বাসনে আছি (কবিতা)। পানি নিয়ে একটা গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নালে। লেখালেখি, ভ্রমণ ও ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফিতে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।

6 Comments

Leave a Reply to Mandyt Cancel Reply